বাংলাদেশে আসন ভাগের নির্বাচন হবে না বলে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
‘দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে’ এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পত্রিকায় একটি সংবাদের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আসন ভাগ করছেন।
১০০ আসন এবং ৭০ আসন। যারা আসন ভাগ করছেন, আমরা আপনাদের পা ভাগ করে দেব। আসন ভাগের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। কোনো আঁতাতের নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না।
নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের যার ওপর হামলা, জুলুম হবে- আমরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পরব। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। আর যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, এই প্রতিরোধ ও প্রত্যাঘাতের মাধ্যমেই আমরা এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাব।
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার যে মাথাপিছু আয় বেড়েছে তা আমি জানি না। কিন্তু আওয়ামী লীগের যে মাথাপিছু আয় বেড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নাই। আর যে বাচ্চাটা মায়ের পেটে আছে, তার মাথায় লোন হচ্ছে- ৪৯২ ডলার!
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, ওখানে কিন্তু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে। রেদোয়ানের যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে। ভিপি জয়নাল আবেদীনের ওখানে হামলা হয়েছে, সেখানেও উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। এখন আমাদেরকে প্রত্যাঘাত করতে হবে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সময় কিন্তু এসে গেছে। এখন থেকে আমরা আর মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি নেব না। এখন থেকে আমরা কোনো অনুমতির তোয়াক্কা করব না। মনে রাখবেন শুরু কিন্তু হয়ে গেছে। পালানো শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু লোক এর আগেও বিমানবন্দরে গিয়ে ধরা খেয়েছে, এখনো ধরা খাচ্ছে। যেতে ও বেরোতে পারছে না।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কয়েক দিন আগে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বললেন- রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো রকম বাধা দেওয়া হবে না। এই কথার ঠিক পরের দিন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হলো! এরপর রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা করা হলো। দেশের ১০ থেকে ১২টি জায়গায় হামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলার পরে এ ধরনের ঘটনা কী করে ঘটে? প্রধানমন্ত্রীরর আদেশ, নির্দেশ এবং অনুরোধের পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কিংবা চোর, বাটপার এবং লুটেরা কেউ আজকে প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট