1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে  নিখোঁজের তিনদিন পর তিস্তা নদী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২

নিখোঁজের তিনদিন পর লালমনিরহাটের তিস্তা নদী থেকে ফরিদা বেগম (৩০) নামের দুই সন্তানের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা সড়ক সেতুর দেড়শ গজ পূর্বদিকে তিস্তা নদীর পাড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই গৃহবধু লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের কিসামত চোঙ্গাদারা গ্রামের ছাত্তার আলীর দ্বিতীয় মেয়ে এবং একই উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের মৃত নবিয়ার খাড্ডার ছেলে দুলাল হোসেনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তা সড়ক সেতুর পুর্ব দিকে ওই এলাকার লোকজন নদীর তীরে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে লালমনিরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। পরে নিহতের পরিবারকে খবর দিলে ফরিদার বাবা ঘটনাস্থলে এসে তার মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।

নিহত ফরিদা বেগমের বাবা ছাত্তার আলী জানান, ৭ বছর পুর্বে পারিবারিকভাবে পার্শবর্তী খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের মৃত নবিয়ার খাড্ডার ছেলে দুলাল হোসেনের সাথে তার দ্বিতীয় মেয়ে ফরিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুইটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। দুই সন্তান নিয়ে তার মেয়ের সংসার ভালই চলছিল। গত ৩১মে মঙ্গলবার সকালে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির পাশের লোকজনের মুখে জানতে পারেন তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফরিদাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এর পর হতে ফরিদাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কথা শোনার পর পরই তিনি মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেন সকাল থেকে হঠাৎ করে ফরিদাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তিনিও তার সকল আত্মীয় স্বজনের সকলের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে কোথাও তার মেয়ের সন্ধান পাননি। এর পরদিন গত ১জুন বুধবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় মেয়ে নিখোঁজের একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

এদিকে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর আগে দুলালের সাথে আমার মেয়ে ফরিদার বিয়ে হয়। বর্তমানে ফরিদার ৬ বছরের শরিফুল ও ৪ বছরের আমিনুর নামে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জামাতা দুলাল আমার মেয়েকে কারনে-অকারনে অমানুষিক নির্যাতন করত ও কয়েকবার হত্যারও চেষ্টা করেছিল সে। এবার সে আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম বলেন, গৃহবধূ ফরিদাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।মামলার প্রস্তুতি চলছে।  তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews