ইরানে মাস দুয়েক আগে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পর দেশটিতে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সমর্থনে গতকাল সোমবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচের আগে নিজেদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইরানের খেলোয়াড়রা।
বিবিসি জানিয়েছে, নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নিঃশব্দ প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা।
ইরানের প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া থেকে বিরত থাকলেন তারা।
ম্যাচ শুরুর আগেই ইরান ফুটবল দলের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবকশ জানিয়েছেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে কি না সেটা দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
ইরানের বেশিরভাগ ফুটবলারই জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার পক্ষে মত দেন। টেলিভিশনে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামে হাজির ইরানের অনেক সমর্থকও জাতীয় সঙ্গীতের সময় চুপ ছিলেন।
কিছু সমর্থক জাতীয় সঙ্গীতের সময় চিৎকার করেছেন ও বিদ্রুপাত্মক কথা বলেছেন। আবার অনেকেই ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখিয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সঙ্গীতের কাভারেজ দেওয়া হয়নি। আগে ধারণ করে রাখা স্টেডিয়ামের কিছু ভিডিও ওই মুহূর্তে দেখানো হয়েছে।
মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই ফুঁসছে ইরান। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে নারীদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। এবার ইরানের ফুটবলাররাও প্রতিবাদে যোগ দিলেন। মাঠে যতক্ষণ জাতীয় সঙ্গীত বেজেছে, ততক্ষণ মুখ বুজে দাঁড়িয়ে থাকলেন ফুটবলাররা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট