নওগাঁ পৌরসভা ও চণ্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনকে আটকের বিষয়ে ওই এলাকায় দায়িত্বরত র্যাবের জয়পুরহাট সিপিসি (ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানি)-২-এর প্রধানের কোনো নির্দেশনা ছিল না। পরে র্যাব হেফাজতে ওই নারী অসুস্থ হওয়ার পর জয়পুরহাট সিপিসি প্রধান বিষয়টি জানতে পারেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পরিচালক যুগ্ম সচিব এনামুল হক। তাঁর কথাতেই র্যাব জেসমিন সুলতানাকে আটক করে। এ ছাড়া জেসমিনকে আটকের আগেও তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে এনামুল হক একাধিকবার কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট র্যাব সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানায়, র্যাবের জয়পুরহাট সিপিসি প্রধান মেজর মোস্তফা জামান, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ ১১ র্যাব সদস্যকে গত শুক্রবার রাজশাহীতে র্যাব-৫-এর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাবের তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদে জেসমিনকে আটকের বিষয়ে সিপিসি-২-এর প্রধানের কোনো নির্দেশনা না থাকার তথ্য জানা যায়। গতকালও ঘটনার সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত ছিল। তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন।