পর্ব – ০৪
মহসিনকে একজন পুলিশ জিজ্ঞেস করলো, মাইনুল কে?মহসিন জানালো মাইনুল তার সম্পর্কের মামা।তারা একত্রে পল্টনে একটা হোটেলে নাস্তা করেছে।তারপর মাইনুল বাড়ি চলে যায় এবং মহসিন এদিকে ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে।যাবতীয় জিজ্ঞাসাবাদ এ পর্যন্তই শেষ।
পরের দিন ১৬ ই অক্টোবর ২০২১ শনিবার আমাদের পাঁচজন যথাক্রমে মহসিন,হযরত আলী,জুবায়ের,আব্দুর রহমান@দয়া দেবনাথ ও আমাকে কোর্টএ চালান করে দেয়া হলো। কোর্টএ গিয়ে জানতে পারলাম চকবাজার থানা পুলিশ বাদী হয়ে আমাদের পাঁচজনের নামে ১৪৩/১৪৯/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩৪ ধারা মোতাবেক মামলা করেছে।মামলা নং – চকবাজার ৩২(১০)২১
কোর্ট থেকে আমাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।ওইদিন কোর্ট থেকে আবার থানায় নিয়ে আসা হয় রিমান্ডের উদ্দেশ্যে। আমাদের মাঝে মহসিন প্রচণ্ড আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।তার ধারণা রিমান্ডে প্রচুর মারধর করা হবে।আমার একই ধারণা ছিল। কিন্তু সারাদিন পার হবার পর দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো।রাত প্রায় দুইটার দিকে থানার এসআই (যার ওপর রিমান্ডের দায়িত্ব পড়েছে) এসে জিজ্ঞেস করলো,এই তোরা যা যা বলছিস সেটাই নাকি নতুন করে আবার জিজ্ঞেস করতে হবে? সবাই ভয়ে আতঙ্কে মাথা নেড়ে বললো, জ্বি স্যার। এবার এসআই সাহেব বললেন,ওকে যাহ।তোদের রিমান্ড তাইলে শেষ। এই পর্যন্ত ছিল এরেস্ট হাওয়া ও থানায় দুইদিনের মোট অভিজ্ঞতা।পরের দিন আমাদের সকলকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হলো। (চলবে)