1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

হিন্দু মুসলিমের মধ্যে এতো বিভেদ কেন?

মজিব রহমান
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩
এ অঞ্চলের মুসলিমদের সামান্যই বাইরে থেকে আসা। অধিকাংশই হিন্দু বা বৌদ্ধ থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে। আবার আর্যরাও বাহির থেকেই এসেছে৷ আর্যদের ধর্মীয় চেতনা স্থানীয় ধর্মের চেতনার সাথে মিলেই আজকের বৈদিক ধর্ম তৈরি হয়। আমাদের ইউনিয়নে দেবনাথ সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে। দেশের সমস্ত নাথ ও দেবনাথরাই নাথ ধর্মের লোক ছিলেন। বৈষ্ণব ধর্মও আলাদা ধর্ম ছিল। শৈবরাও ছিলেন আলাদা ধর্মের। এক বৈষ্ণবদের মধ্যেও বহু মত-পথ রয়েছে। মুসলিম আগমনই হয়তো তাদের এক ধর্মে নিয়ে এসেছে। অথচ এখনো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হিন্দুরা ভিন্ন-ভিন্ন দেবতার পূজা করে। বাংলার দুর্গা দেবীর অস্তিত্ব দক্ষিণ ভারতে নেই। বাংলাভাষী অধিকাংশ মানুষই একইরকম দেখতে, মূলত অস্ট্রিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ যাদের মধ্যে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জিন রয়েছে। এজন্য তাদের শংকরজাতিও বলা হয়। আবার দুই ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও পাবেন৷ মুসলিমদের আদি পুরুষ আদম-হাওয়ার মতোই হিন্দুদের রয়েছে মনু-শতরূপা! সাধারণভাবে কে হিন্দু ও কে মুসলিম ধরার কোন পথ নেই। অথচ শুধুমাত্র ধর্মের রাজনীতির কারণে তাদের মধ্যে বিরাজ করে তীব্র বিদ্বেষ ও ঘৃণা।
আগের ধর্ম সংস্কার করেই নতুন নতুন ধর্ম এসেছে। ইহুদী-খৃস্টান-মুসলিম এর বিবর্তন আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি। বৈষ্ণব ধর্ম থেকে শ্রীচৈতন্য হয়ে আজকের ইশকনের মধ্যেও একটি ধারাবাহিকতা হিসাব করতে পারি। অথবা সাংখ্য, শৈব, বৈষ্ণব ধর্ম থেকে আজকের হিন্দু ধর্ম নিয়েও পর্যবেক্ষণ করতে পারি। ধর্মগুলো শুধু স্রষ্টা বা দেবতার আরাধনাই নির্দেশ করে দেয়নি তারা একেকটা দর্শনও ঠিক করে দিয়েছে। যে দর্শন একসময় প্রাধান্য বিস্তার করতো তাদের অনুসন্ধিৎসার জবাব কিন্তু বিজ্ঞানই খুঁজে দিয়েছে। বিজ্ঞানই সত্যের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। এতে দর্শনের প্রভাব ক্ষীণ হয়ে পড়েছে, উন্নত দেশে ধর্মের প্রভাবও কমেছে কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার উন্নতি কমই হয়েছে। দারিদ্রতার মতো অন্ধতাও দূর হয়নি৷
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় ভারত ও পাকিস্তানের দায়িত্ব নেন দুজন প্রগতিশীল ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাসহীন মানুষ। জওহরলাল নেহেরু ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মধ্যে ধর্ম বিশ্বাসই ছিল না। তারা দুজনই ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তখন একটা ধারণা অনেকে করতেন যে আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ এশিয়াও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষে ভরে উঠবে। কিন্তু তা হয়নি। এখন দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই ধর্মান্ধতার অন্ধকার নেমে এসেছে। ১৯০৬ সালে বাংলা ভাগ হলে মুসলিমরা খুশি হয় এবং হিন্দুরা আন্দোলন করে ভারত ভাগের বিরুদ্ধে। এর একটি কারণ ছিল যে, পূর্ববঙ্গে অনেক হিন্দুর জমিদারি ছিল এবং তারা বাস করতো কলকাতায়। বাংলা ভাগ হলে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি হ্রাস পাবে। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের পূর্ববঙ্গের কয়েকটি জমিদারি ছিল। যখন তাদের আন্দোলনে বঙ্গভঙ্গ রদ হল তখন হিন্দুরা ভিন্ন সংকট সামনে দেখতে পেল। ১৯৩১ সালের আদমশুমারী দেখেই অনেকে আৎকে উঠেন। তারা বিস্ময়করভাবে পরিসংখ্যান দেখেন যে, দুই বাংলায় মুসলিমের সংখ্যা হিন্দুর চেয়ে অনেক বেশি। জরিপ আগেঐ হয়েছিল কিন্তু তারা আমলে নেননি৷ এর ফলও পান পরবর্তী নির্বাচনে। বাংলার পরপর তিনজন প্রধানমন্ত্রীই হন মুসলিম— শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমউদ্দিন— যাদের নিয়ে ঢাকার দোয়েল চত্বরে তিন নেতার মাজার রয়েছে। কলকাতার হিন্দু বাবুরা বুঝে গেলেন— রাজনীতিতে যত বড় নেতাই তারা হন না কেন ভোটের দৌড়ে কখনোই তারা আর পেরে উঠবেন না। সিআর দাশের মতো মুসলিমদের কাছে গ্রহণযোগ্যও কেউ নেই৷ ধর্মটাই সামনে চলে আসে, চলে আসে বিদ্বেষটাও যা নতুনও নয়। দেশভাগের পরে জমিদারি প্রথা বাতিল হয়। তাতেও হিন্দুদের প্রভাব আরেক ধাক্কায় কমে যায় কারণ অধিকাংশ জমিদারই ছিলেন হিন্দু। পূর্ব বঙ্গ থেকে হিন্দুরা চলে যেতে থাকে পশ্চিমবঙ্গে আর পশ্চিম বঙ্গ থেকে মুসলিমরা আসতে থাকে পূর্ব বঙ্গে। হিন্দুদের দেশান্তরের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এতেও হিন্দুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পূর্ববঙ্গে থাকা বহু সম্পদই তারা হয় নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে যায় নতুবা স্রেফ ফেলে রেখে যায়। পূর্ববঙ্গে হিন্দুর সংখ্যা অনেক কম থাকা সত্ত্বেও জমিদারি ও উচ্চ শিক্ষার কারণে তাদের হাতেই ছিল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ক্ষমতা। বাংলাদেশে থেকে যায় সাধারণত দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা হিন্দুরা। আমাদের গ্রামেও একসময় ভট্টাচার্য, বন্দ্যোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়, গঙ্গোপাধ্যায়, সেন ও রায় পরিবার ছিল। ১৯৩১ সালের পরিসংখ্যানে আমার ভাগ্যকুল গ্রামে ৫১% হিন্দু ছিল। এখন সংখ্যায় কমে আসলেও হিন্দু ভোটার ৩৫-৪০% এর কমবেশি। এরমধ্যে একজনও ভট্টাচার্য, বন্দ্যোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়, গঙ্গোপাধ্যায়, সেন ও রায় নাই। রয়েছেন কয়েক ঘর সাহা ও পোদ্দার আর অধিক সংখ্যক মাল ও রাজবংশী যারা জেলে সম্প্রদায়ের। দেশ ভাগের কারণে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা ক্ষমতায় যায়। সেখানে এখন ৯ কোটি মানুষের মধ্যে আড়াই কোটি মুসলিম। আবার বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে দেড় কোটি হিন্দু (৮%)। দুই বাংলা মিলিয়ে দেখুন এখনো ২৭ কোটি বাঙ্গালির মধ্যে আট কোটি হিন্দু আর প্রায় তার দ্বিগুণের বেশি মুসলিম। হিন্দুদের ক্ষমতা হ্রাস ও মুসলিমদের সংখ্যাধিক্য—এই পরিসংখ্যানই হয়তো দ্বন্দ্বের ও ঘৃণার প্রধান কারণ হয়ে উঠে। তবে মুসলিমদের মধ্যে থাকা প্রকট ধর্মান্ধতা, জিহাদী চেতনা ও সুশিক্ষা বিমুখতা পারস্পরিক ঘৃণাকে বাড়িয়ে দিয়েছে৷
ভারত ভাগের পরেও পাকিস্তান আমলে আমরা দেখেছি— ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের ভিতরেও একটি প্রগতিশীল চেতনা জেগে থাকতে। বিশেষ করে বাম রাজনীতির প্রভাবে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ তৈরি হচ্ছিল। সেখানে ধর্ম-অনুরাগহীন একটা শ্রেণিও ছিল যারা সমাজে প্রভাব বিস্তার করতো। কমিউনিস্ট পার্টিতে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের অধিকাংশই হিন্দু। তারা বস্তুবাদের চর্চাই করতেন। সেখানে যারা মুসলিম ছিলেন তারাও বস্তুবাদী চেতনাধারী ছিলেন। ফলে হিন্দু মুসলিম নেতারা কাধে কাধ মিলিয়ে আনন্দের সাথেই রাজনীতি করতে পেরেছেন। হিন্দু-মুসলিম চেতনা তাদের স্পর্শ করতো না। কিন্তু বাম দলগুলোতে হঠাৎই একটি পরিবর্তন চলে আসে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পরে। বস্তুবাদের পরিবর্তে আসে ধর্ম-কর্ম সমাজতন্ত্রের কথা। মাওলানা ভাসানী আন্দোলনে নিয়ে আসে নামাজ ও মোনাজাত যা ইসলাম ধর্মীয় বিষয়। হিন্দুদের আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সেই ধারাটাই এখনো দেখছি। মঞ্জুরুল আহসান খান মাজারপন্থী সুফিবাদী দর্শনের মানুষ যা বস্তুবাদ পরিপন্থী। তিনি আবার হজ্বব্রত পালন করে শরিয়তপন্থীও হয়ে গেলেন। এমনটা আরো অনেকের মধ্যেই দেখা গেল। ইনু-মেননও হজ্বব্রত পালন করে হাজিসাব হয়ে উঠলেন। ধীরে ধীরে প্রগতিশীল হিন্দুরাও ছাড়তে থাকেন বাম রাজনীতি এবং তারা আশ্রয় নেন মূলত আওয়ামী লীগের পতাকা তলে। প্রগতি চর্চার জায়গাগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। তৈরি হয় ধর্মীয় আবহ ও বিদ্বেষ। বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিল তারা ওখানে গিয়ে করতো সিপিএম। এতে সিপিএমের শক্তিও অনেক বেশি ছিল। মুসলিমরাও সিপিএম করতো। ফলে পশ্চিমবঙ্গে একটি প্রগতিশীল সমাজ তৈরি হয়েছিল। হিন্দু মুসলিমরা একসাথেই ধর্মের প্রতি উদাসীন থেকেই রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড করতেন। সেই জায়গাটাও হারিয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গে বিস্ময়করভাবে সিপিএম ও সিপিআইর সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিতে লাগল। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দুরা প্রায় সকলেই বিজেপির সমর্থক বনে গেল। তারা হঠাৎ করেই কি প্রগতিশীল থেকে ধর্মান্ধ হয়ে উঠল! মুসলিমরাও যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। কেন এমনটা হল? ভারত ও বাংলাদেশে কয়েকটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। পরস্পরের প্রতি বেড়েছে অবিশ্বাস ও ঘৃণা।
আমার মনে হয়েছে পারস্পরিক আস্থাহীনতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ থেকেই এটা হয়েছে। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ আমার ভালভাবেই পড়া আছে। কোন হিন্দু ধর্মগ্রন্থেই গরু দেবতা— এমনটা বলা নেই। তবে গরু দিয়ে হালচাষ করা হয় এবং গাভী দুধ দেয় তাই ভারতে যখন গরুর সংখ্যা কমে গেল তখনই গরু খাওয়ার বিরুদ্ধে রাজারা ব্রাহ্মণদের দিয়ে বিভিন্ন কথা বলানো শুরু করাল। গরু দুধ দেয় ও হালচাষে কাজে লাগে বলেই তাকে মায়ের সাথে তুলনা করে বলা হয় গো-মাতা। আর তাতে গরু না খাওয়ার একটি ভাবাদর্শ তৈরি হল। মহাভারতে যজ্ঞে গোবৎস (বালক গরু) খাওয়ার কথা বলা আছে। যজ্ঞে হাজার হাজার গরু কাটা হতো বলেই গরুর সংকট তৈরি হতো। কিন্তু ভারত ভাগের সময়তো গরুর অমন সংকট ছিল না। তাহলে সেই গরু না খাওয়ার তীব্রতা কিভাবে বহাল থাকলো? এখানে কি মুসলিমদের কোরবানী ও গরু খাওয়ার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে? মুসলিমরা ধর্মীয় উৎসবে গরু ব্যবহার করে ও খায় বলে হিন্দুরা এর বিরুদ্ধে সেই প্রথা আরো জোরদার করেছে সম্ভবত (?)।
ইংরেজরা একটা চেষ্টা করেছিল ভারতীয় বৈদিক ধর্মে একেশ্বরবাদী চেতনা জাগ্রত করতে। তারা বুঝেছিল যদি এমনটা করা না যায় আর খৃস্টান ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে এতো বৈপরত্য থাকে তাহলে সংঘাত আসবেই। ইংরেজরা ব্রাহ্ম ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। রাজা রামমোহন রায়, কেশব সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচেষ্টা চালান। ভারতে শংকরাচার্যও একেশ্বরবাদের একটি ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন। ব্রাহ্ম ধর্ম ধনিক শ্রেণির মাঝে জনপ্রিয়তা পেলেও সাধারণ হিন্দুরা তা গ্রহণ করেনি প্রচণ্ড রাষ্ট্রীয় চাপ না থাকায়। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন তখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা সেটার দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। ভারতে মুসলিম শাসনামলে ধর্মপ্রচারকগণ সুবিধা নিয়ে প্রচুর হিন্দু/বৌদ্ধকে মুসলিম বানিয়েছে। তবে রাষ্ট্র নিজে এজন্য কঠোর ছিল না। আবার তারা হিন্দু ধর্মকে একেশ্বরবাদী ধর্ম বানানোর দূরদর্শি চিন্তা করতেও পারে নি। এরমধ্যে রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় নেতারা সুবিধা নেয়ার জন্য হিন্দু ও মুসলিমদের ধর্মীয় দূরত্বকে কাজে লাগিয়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষটা চরমভাবে জাগিয়ে রেখেছে। পৃথিবীতে ধর্মগুলোকে মোটা দাগে দুইভাগে ভাগ করা যায়। একটা সেমিটিক একেশ্বরবাদী আরেকটি পৌত্তলিক প্যাগান। দুটি ধর্ম বিশ্বাসের মধ্যে মিল কমই। তারমধ্যে আবার বিভেদ বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা সবাই চালিয়েছে। বিপরীতে প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক চেতনার মানুষ তৈরির চেষ্টা কোন সরকারই কোনকালে করেনি। ফলে বিভেদও দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এই আধুনিক ও সভ্য যুগে রাষ্ট্রের পক্ষে আর সম্ভব নয় মানুষের ধর্মবিশ্বাস বদলে দিয়ে আরেক ধর্মের দিকে ঠেলে নেয়া। তাহলে এই বিভেদ থেকে রক্ষার পথ কি? পথ একটাই আর তাহল বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠন করা। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছেই ধর্মটা পরিস্কার হয়ে উঠে। নেতাদের কারসাজি ও প্রতারণা টের পায়। ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ীদের আহবান তারা প্রত্যাখ্যান করতে পারে। এজন্য রাষ্ট্র ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করা থেকে বিরত থাকবে। ধর্ম হবে ব্যক্তিগত অনুশীলনের জায়গা। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যবই হবে বিজ্ঞাননির্ভর অর্থাৎ বিজ্ঞান সমর্থন করে না এমন কিছু পড়ানো যাবে না। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারকে করতে হবে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে। তাহলেই ধর্মব্যবসায়ী ও নেতাদের এবিষয়ে আগ্রহ কমে আসবে। মানুষের মধ্যে ঘৃণাকে জাগিয়ে রাখতে তারা আর অর্থ ব্যয় করবে না। রাষ্ট্র এগিয়ে না আসলে অনেক সময় লেগে যাবে। আর এজন্য প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষকে প্রচুর কথা বলতে হবে এসব নিয়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews