1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

রুবলের সর্বনিম্ন মূল্য সুদহার বৃদ্ধির ঘোষণা রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
রাশিয়ান মুদ্রা রুবল ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যে নেমে যাওয়ার পর দেশটি মঙ্গলবার সুদের হার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির মূল্য সোমবার ১০০-এর নিচে নেমে যায়। এ অবস্থায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি জরুরি সভার আহ্বানও জানিয়েছে।ব্যাংক অব রাশিয়া বলেছে, তারা মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশটিতে চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৪.৪ শতাংশে আঘাত করেছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে রুবল তার সবচেয়ে দুর্বল স্তরে নেমে যাওয়ার এক দিন পরে সুদহার ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণাটি এলো। মূল্যস্ফীতিজনিত ঝুঁকি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ হার ফের বাড়ানো হতে পারে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রপ্তানির চেয়ে আমদানি দ্রুত বৃদ্ধি এবং সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রুবলের দাম কমে যায়, কিন্তু মূলধন নিয়ন্ত্রণ এবং তেল ও গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে এটি শক্তিশালী হয়।

তবে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে মুদ্রাটি মার্কিন ডলারের তুলনায় সামগ্রিকভাবে তার মূল্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হারিয়েছে এবং এই সপ্তাহে এক ডলার কিনতে ১০০ রুবলেরও বেশি প্রয়োজন ছিল। তবে মঙ্গলবার এ মুদ্রার মান সামান্য পুনরুদ্ধার হয়ে এক ডলারের তুলনায় ৯৮ রুবেলে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু এটি গত বছরের তুলনায় এখনো অনেক দুর্বল।

এবারই প্রথম নয় যে ব্যাংক অব রাশিয়া সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে আগ্রাসী হয়েছে। যখন রাশিয়া প্রথম ইউক্রেনে আক্রমণ করে, তখন ব্যাংক রেট ৯.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছিল তারা। কিন্তু খুব অল্প সময় পরেই তারা রেট কমানো শুরু করে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ উদীয়মান বাজার অর্থনীতিবিদ লিয়াম পিচের মতে, সর্বশেষ এ বৃদ্ধির শুধু একটি অস্থায়ী প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া মূলধনের প্রবাহ আকর্ষণ করতে সংগ্রাম করবে।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, রুবল দুর্বল হওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো রাশিয়ার বাণিজ্য। আর তাই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক ইইউ দেশ, যারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তারা দেশটি থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয় এবং বিকল্প সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইইউ নেতারা রাশিয়া তার তেল রপ্তানি থেকে যে পরিমাণ আয় করে তা সীমিত করার জন্য একটি মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা প্রবর্তন করেছে। এ ছাড়াও দেশটিকে হাজার হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা সুইফট থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews