1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন

বাসে ই-টিকিটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

আপনি বাসে উঠেছেন কিছুদুর যাওয়ার পর বাসের সহকারী ভাড়া চাইতে এলো ভাড়া কত জিজ্ঞেস করে তার কাছে টিকেট চাইলেন, শুরু হলো তর্ক। সহকারী সাত পাঁচ চৌদ্দ বুঝিয়ে যাচ্ছে, বাসের যাত্রীরাও দুই ভাগ একভাগ বলবে টিকেট দিতে আপত্তি কেন? অন্যভাগ বলবে দেন তো ভাই ৫ টাকার জন্য অফিস যাওয়ার সময় মাথা গরম করেন না। এই হলো এখন ঢাকার গণপরিবহনের চিত্র। এর মীমাংসা কী?

মীমাংসার আরেকটা উপায় হতে পারে পজ মেশিনে কাটা ই-টিকিট। কিন্তু টিকিট কাটার মেশিনগুলো গণপরিবহন থেকে উধাও হয়ে গেছে। মোবাইল কোর্টকে দেখানোর জন্য দু একটা যাও কালে ভদ্রে দেখা যায় সে টিকেট দিতে অপারগ বাসের সহকারী

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রাজধানীর বিভিন্ন পথে চলাচলকারী বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ ভাগে ভাড়ার তালিকাও প্রকাশ করা হয়। প্রায় কোন বাসেই  বিআরটিএর ভাড়ার তালিকায় সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এরই মধ্যে পার হয়েছে এক বছর। কিন্তু এখন আর কোনো বাসেই ই-টিকিটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু যেসব বাস কাউন্টারভিত্তিক চলাচল করে, সেগুলোর কাউন্টার থেকে টিকিট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ই-টিকেটিং ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

কাগজে-কলমে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। গতকাল সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বাসে চলে দেখা গেছে, কোনো ভাড়া আদায়কারীর হাতে নেই ভাড়া আদায়ের পজ মেশিন। ভাড়া আদায়ে মানা হচ্ছে না বিআরটিএর নির্ধারিত তালিকা। ওয়েবিল প্রথা বাতিল করা হলেও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ওয়েবিলের কারণেই যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাসে যে সহকারীরা থাকে তারা সবাইকে টিকিট দিতে চায় না। পিক টাইমে (ব্যস্ত সময়) টিকিট দেওয়া সম্ভবও হয় না। শতভাগ টিকিট নিশ্চিত করতে হলে নিচে কাউন্টার বসিয়ে টিকিট দিতে হবে।’

২০১২-১৩ সালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বাসে প্রথম ই-টিকেটিং ব্যবস্থার প্রচলন করে। তখন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে র‌্যাপিড পাসের মাধ্যমে ই-টিকিটে ভাড়া আদায় শুরু হয়। যদিও দীর্ঘ মেয়াদে এই ব্যবস্থা সফলতার মুখ দেখেনি। নতুন করে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি ই-টিকেটিং প্রথার প্রচলন করে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সূত্র বলছে, বর্তমানে মিরপুরকেন্দ্রিক ৩০টি প্রতিষ্ঠান এবং উত্তরা ও আজিমপুরকেন্দ্রিক আরো ১০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই হাজার বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা রয়েছে এমন তথ্য জানেন না অনেক যাত্রী। বাড্ডায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে ভ্রমণকারী সুব্রত সাহা বলেন, ‘চাকরির কারণে তিন মাস ধরে এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করি। এই বাসে যে ই-টিকিট রয়েছে সেটাই তো জানি না। আর আমি কোনো দিন এই বাসে টিকিট দিতেও দেখিনি। জানতাম না তাই কখনো টিকিট চাইনি।’

রাজধানীর গণপরিবহনে ওয়েবিল ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর আটটি কম্পানির বাসে পরীক্ষামূলক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। বাস মালিক সমিতির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর ৬০টি প্রতিষ্ঠানের সব বাস ই-টিকিটের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের জেলায় পাঁচ হাজার ৬৫০টি বাস চলাচল করে। শুধু রাজধানীর মেট্রো এলাকায় চলাচল করে তিন হাজার ১৪টি বাস।

বাসে ই-টিকিটের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে কথা বলতে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews