প্রথমে ফ্রিজ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন। দু-তিন ঘণ্টা পর ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পুরনো সব খাবার বের করে ফ্রিজ একেবারে খালি করুন।ফ্রিজের ট্রে ও বক্সগুলো বের করে নিন। ডিপ ফ্রিজে বরফ জমলে সেগুলো বের করে সামান্য গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ফোমের মাজনি দিয়ে ভেতরের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। ব্লিচিং পাউডার ও ধারালো স্ক্রাবার দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। এতে ফ্রিজের প্লাস্টিকের আস্তরণে ক্রাচ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।এরপর পরিষ্কার পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজের ভেতর ভালোভাবে মুছে নিন। একইভাবে ফ্রিজের বাইরের অংশ মুছে নিন। সাবান পানির একই মিশ্রণ দিয়ে ট্রে ও বক্সগুলোও পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের নিচে কনডেন্সার থাকে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার থাকলে ধুলা জমে ফ্রিজের ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
তাই ফ্রিজের নিচে ধুলাবালিও পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফ্রিজ পরিষ্কার করতে বেশি সময় নেওয়া যাবে না। এতে বের করে রাখা খাবার, কাঁচা মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাবান পানি, ডিটারজেন্ট ও তরল সাবানের পাশাপাশি একইভাবে গ্লাস ক্লিনার ও বেকিং সোডার মিশ্রণ দিয়েও ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে গরম পানি ও বেকিং সোডার মিশ্রণ খুবই কার্যকর। বেকিং সোডার বদলে ভিনেগারও ব্যবহার করতে পারেন।
কোরবানির মাংসের পুষ্টি ও স্বাদ ঠিকঠাক রাখতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। মাংস অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে মাইনাস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। মাংস রাখার আগে ফ্রিজে পুরনো খাবার খেয়ে শেষ করুন। অন্যথায় পুরনো মাংসের গন্ধ থেকে যাবে। তা কোরবানির মাংসের স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট করতে পারে। একদম বরফ ছাড়া খালি ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করা যাবে না। ফ্রিজে কিছুটা বরফ জমিয়ে নিলে মাংস দ্রুত জমাট বাঁধবে। কোরবানি করার সঙ্গে সঙ্গেই মাংস ফ্রিজে রাখা যাবে না। কারণ কোরবানি করার পর মাংস কিছুটা গরম থাকে। তিন-চার ঘণ্টা পর মাংসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে রাখুন। রাখার আগে মাংস ভালোমতো ধুয়ে রক্ত পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। মোটা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করুন, যাতে দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখার কারণে মাংস পলিথিনের সঙ্গে লেগে না যায়। অথবা একটি মাংসের প্যাকেট রেখে মাঝে একটি কাগজ দিয়ে আরেকটি প্যাকেট রাখতে পারেন। ব্যবহার অনুযায়ী ছোট ছোট পোঁটলা করে চ্যাপ্টা ও লম্বাটে করে রাখুন। কম জায়গায় অনেক মাংস ধরবে। কলিজা ও মগজের মতো নরম মাংস ওপরের তাকে রাখুন। পলিথিনের গায়ে কলিজা, মগজ, মাথা, নেহারি ইত্যাদি অংশের নাম শক্ত কাগজে লিখে লাগিয়ে দিতে পারেন। মাংস পাঁচ-ছয় মাস বা এক বছরও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই কোরবানির মাংস খেয়ে শেষ করা ভাল