মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাদশা আলমের চাকুরীর মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কোন ক্ষমতা বলে চাকুরীর বয়স বৃদ্ধি করা করা হয়েছে কেউ মুখ খুলছেনা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ০৬ জুন ২০১১ এবং ০৯ জুলাই ২০১২ এর পরিপত্র/আদেশ অনুয়ায়ী অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক চাকুরীর বয়স ৬০ বছর পুর্ণ হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে সরকার।অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ মাউশি বিভাগ ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত করেন।অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঝিনাইদহ কলেজের অধ্যক্ষ বাদশা আলম এর চাকুরীর বয়স ২০-০৫-২০২৪ তারিখে ৬০বছর পূর্ণ হলে প্রথম বারের মতো ০১(এক) বছরের জন্য (অর্থাৎ ২১-০৫-২০২৪ হতে ২০-০৫-২০২৫ তারিখ পযর্ন্ত ) চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক(ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা খাতুন স্বাক্ষরিত ১৫-০৬-২০২৪ তারিখের ২২৫৩নং পরিপত্র মোতাবেক ঝিনাইদহ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর পত্র প্রেরণ করেন।
চাকুরীর বয়স বৃদ্ধি(চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ) দেওয়ার এখতিয়ার না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যাবহার পূর্বক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে ঝিনাইদহ কলেজের(ইআইএন নং-১১৬৫৫১) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাদশা আলমকে আর্থিকভাবে লাভবান করার জন্যই অবৈধভাবে চাকুরীর মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে।
অধ্যক্ষ বাদশা আলমের বিরুদ্ধে সরকারি ও কলেজ তহবিলের লাখ লাখ টাকা লুটপাট এর অভিযোগ রয়েছে ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরীর মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও কোন ক্ষমতা বলে অধ্যক্ষ বাদশা আলমের চাকুরীর মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করলো তা ক্ষতিয়ে দেখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১০৯|৪২০|৪০৮|৪০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মতে অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি তুলেছেন ঝিনাইদহের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট