সরকারি চাকরিতে কোটা পুর্নবহালের রায় বাতিল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে রোববার ঝিনাইদহে পদযাত্রাসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদাণ করেন।
রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে জড়ো হতে থাকে ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল চত্বরে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝিনাইদহ শহরে পদযাত্রা শুরু করতে গেলে প্রথমে পুলিশী বাধার সম্মুখিন হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা কর্মসুচি শুরু করেন।পদযাত্রার সময় শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকেন।
পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা, ইবির শিক্ষার্থী এনামুল হক, আবু রায়হান, কেসি কলেজের তাসনিমা খাতুন, রিহান হোসেন, নুসরাত জাহান সাথী, ইলমা রহমান, স্বাধীন হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, চাকরীর বৈষম্য নিরসনে সংসদে আইন পাশের জন্য জরুরি বিত্তিতে অধিবেশন আহ্ববান করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো কোটার বৈষম্য থাকবে না। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রদাণ করেন।