বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।
মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী এক নাম। ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্ম নেওয়া এই নেতার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি শেরপুর-২ আসনের বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, লবি ও আহতদের চিকিৎসায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে যোগ দেন মতিয়া। ১৯৭১ সালে তিনি দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন অগ্নিকন্যাখ্যাত এই নেতা।
মতিয়া চৌধুরীর পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট