আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে লাখো মানুষের শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশপানে। বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই নানা ঘটনাপ্রবাহ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ঘটনাবহুল এ মাসেই বাংলাদেশের জন্ম এবং এ দেশের মানুষের আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় মাস। এ মাসের প্রায় প্রতিটি দিন ঐতিহাসিক ঘটনায় উজ্জ্বল। তেমনিভাবে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্দীপ্ত করে।১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের ভিত রচিত হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ লাখো মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল-সবুজের পতাকা।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
৭ মার্চের এই ভাষণ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাসংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট