ফিল্ম সংকটে সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে কাজ বন্ধ রয়েছে পাঁচ মাস যাবত। ফলে বিভিন্ন ডায়াগনোস্টিক এন্ড ক্লিনিক থেকে বেশি টাকায় এক্স-রে কাজ করতে হচ্ছে রুগীদেরকে। হাসপাতালে এক্স-রে (রেডিও) বিভাগে কর্মরত মোঃ বিদারুল ইসলাম জানান দীর্ঘ ৫ মাস ধরে ফিল্ম ও ফিল্ম রাখার খাম সংকট রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শারমিন কবিরাজকে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন। তিনি আরো জানান হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি ১০০ মিলিয়াম এমপিআর (এমএ) এনালগ মেশিনে এক্স-রে কাজ হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ৩০০ এমএ একটি নতুন এক্স-রে মেশিন সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া যায়। তখন থেকে নতুন মেশিনে এক্স-রের কাজ হয়ে আসছে। ৩০০ এমএ এই এনালগ এক্স-রে মেশিনের সাথে কম্পিউটারাইজ রেডিও গ্রাফি (সিআর) সংযোগের ব্যবস্থা করা হলে ডিজিটালে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে আরএমও ডা.ইশমে শর্মা তাজনীন জানান এক্স-রে ফিল্ম সংকটের বিষয়টি আমি অবগত আছি। হয়তো শিগগির সরবরাহ পাওয়া যাবে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট। এখানে প্রতিনিয়ত এক্স-রে কাজ হয়ে থাকে। কিন্তু গত অক্টোবর মাস থেকে ফিল্ম সংকট হওয়ায় এক্স-রে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেইসাথে জনগণকে বাইরে থেকে এক্স-রে কাজ করতে হচ্ছে বেশি টাকায়। উপকারের স্বার্থে শিগগির সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে ফিল্ম সরবরাহ করা আশু প্রয়োজন বলে মনে করেন জনগণ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট