সোমালি দস্যুদের হাতে ১৬ দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক কবে নাগাদ মুক্তি পাচ্ছেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারছেন না। সময় যত বেশি যাচ্ছে, ততই বাড়ছে স্বজনদের দুশ্চিন্তা আর উৎকণ্ঠা।
ছিনতাই করা জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের ছোটভাই আবদুল্লাহ খান আসিফ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দস্যুরা তাদের (নাবিক) মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলার পর প্রতি শুক্রবার একদিন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ফোন করে। আগামীকাল (আজ শুক্রবার) ফোন করতে পারে।সর্বশেষ গত শুক্রবার যখন আমার ভাই ফোন করেছিলেন তখন বলেছেন জাহাজে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।’

আরেক জিম্মি নাবিক মোহাম্মদ সামশুদ্দিন শিমুলের স্ত্রী ফারজানা সুলতানা রিমা গত বুধবার বলেন, ‘দুয়েক দিন পর পর আমার স্বামী ফোন করছেন। সর্বশেষ গত সোমবার ইফতারের পর (বাংলাদেশ সময়) ফোন করে বলেছিলেন আমরা ভাল আছি। তবে আমাদের মুক্ত করার জন্য কী চেষ্টা করা হচ্ছে?’
ফারজানা সুলতানা রিমা বলেন, ‘টেলিফোনে স্বামীকে বলেছি মালিক পক্ষ আমাদেরকে বলেছেন, ঈদের আগেও মুক্তি হতে পারে।তবে আরো সময় লাগতে পারে।’
জিম্মি হওয়া জাহাজ আবদুল্লাহর মালিক পক্ষ কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম গতকাল বিকেলে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের (দস্যুদের প্রতিনিধি) আলাপ আলোচনা চলছে। নাবিকরা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।’
একই গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জিম্মি নাবিকদের গত মঙ্গলবার স্ব স্ব কেবিনে পাঠিয়েছে দস্যুরা।দস্যুরা বাইরে থেকে এনে খাবার খাচ্ছে। নাবিকদের সঙ্গে তারা কোনো খারাপ আচরণ করছে না।’
সমঝোতার অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাবিকদের অক্ষতভাবে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে সব বিষয়াদি প্রকাশ্যে বলা যাচ্ছে না।’