বাংলাদেশের মৌলবাদীরা উগ্র হলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় তারা তস্করের ভূমিকায় রয়েছে৷ তারা ভিন্ন ধর্মের মানুষের উপর হামলা চালায় ও খুন করে চুপিসারে বা অতর্কিতে এবং ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়৷ উদাহরণ-
১) মুসলিম মৌলবাদীরা মন্দিরে কোরআন রেখেছে এবং মসজিদে কোরআনে হাগু করেছে চুপিসারে হিন্দুদের ফাঁসাতে৷
২) হিন্দু অথবা প্রগতিশীল মানুষের আইডি হ্যাক করে বা অন্যকোনভাবে ইসলাম ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে৷ ওয়াজকারীরা বিপুলভাবে ওয়াজে হিন্দু ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দিচ্ছিল তবে সচেতন মানুষ ও সরকারের চাপে তাও হ্রাস পেয়েছে৷
৩) প্রগতিশীলদের অতর্কিতে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছে৷ পলাতক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থাই নিয়েছে৷ কখনো ক্রসফায়ারে কখনো ফাঁসি দিয়ে পরপারে পাঠিয়েছে৷
ভারতের হিন্দু মৌলবাদীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে ডাকাতে পরিণত হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক চাপে না পড়া পর্যন্ত তারা মৌলবাদীদের সহায়তাই করে৷ কখনো লঘুদণ্ড প্রদান করে৷ উদাহরণ-
১) গোধরা, দিল্লী হত্যাকাণ্ড বা বাবড়ী মসজিদ দখলে ভারতীয় পুলিশও অংশগ্রহণ করেছে৷ এসব হামলা হয়েছে প্রকাশ্যে৷ এমনকি নূপুরকাণ্ডে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্র!
২) বিভিন্ন মসজিদে প্রকাশ্যেই হামলা চালানো বা জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ জয় শ্রীরাম না বলা কিংবা গোমাংশ রাখা/খাওয়ার অভিযোগে প্রকাশ্যেই মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছে৷
৩) বিজেপির রাজনৈতিক নেতারা প্রকাশ্যেই ইসলাম ধর্ম, তাদের নবী ও ধর্মগ্রন্থকে নিয়ে বিষেদাগার করে৷ তারা পরিকল্পিতভাবেই মুসলিম বিদ্বেষ তৈরি করে একটি উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছে মুসলিম নিধনের জন্য৷ বিজেপি সরকার সবসময় হিন্দু মৌলবাদীদের সহায়তা দিচ্ছে৷